হাওজা নিউজ এজেন্সি: বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ইসরায়েল যা গাজায় করছে, তা সম্পূর্ণভাবে গণহত্যা ও সন্ত্রাসবাদ। এই অপরাধ চলছে আমেরিকা ও ইউরোপের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এবং আরব দেশগুলোর নীরবতার আড়ালে।”
হুথি আরও বলেন, “গাজাবাসীর পক্ষে আমাদের হাতে রয়েছে বিভিন্ন কৌশলগত বিকল্প। আমাদের সব পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো গাজায় চলমান গণহত্যা থামানো এবং সেখানে ওষুধ, খাদ্য ও পানির প্রবেশ নিশ্চিত করা।”
তিনি সমুদ্রপথে ইসরায়েলি বন্দরে যাতায়াত নিষিদ্ধ করার ইয়েমেনি সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে কিছু জাহাজের চলাচলকে ‘সন্ত্রাসে অংশগ্রহণ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, “এ ধরনের কাজ ইসরায়েলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে গাজাবাসীর বিরুদ্ধে অপরাধে অংশগ্রহণের শামিল।”
হুথি আরব ও ইসলামি দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন গাজা, সিরিয়া ও লেবাননে আগ্রাসন চলছে। কাল তা মিসর, জর্ডান কিংবা উপসাগরীয় দেশগুলোর দোরগোড়ায় পৌঁছাবে। তাই ইসরায়েলি অপরাধের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নেওয়া জরুরি।”
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান, “গাজার জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলি নেতাদের আন্তর্জাতিক বিচারের আওতায় আনা হোক।”
তিনি বলেন, “আমাদের অবস্থান মানবিক। প্রশ্ন হলো—আরব ও ইসলামি দুনিয়ার বিশাল সেনাবাহিনী ও রণসামর্থ্য এখন কোথায়? কেন তারা গাজার ভাইদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না?”
গাজাবাসীর প্রতি বার্তায় তিনি বলেন, “আপনাদের প্রতিরোধ ও দৃঢ়তা—ইয়োমুন সিবতের (৭ অক্টোবর) বিজয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন। তা ধরে রাখতে হলে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।”
তিনি আরও জানান, দখলদার ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ দিচ্ছে যেন ইয়েমেনের বিরুদ্ধে নতুন হামলা চালানো হয়। জবাবে হুথি বলেন, “এই হুমকির মোকাবেলায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলাই সবচেয়ে কার্যকর ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া। ইয়েমেন যেকোনো আগ্রাসনের জবাব শক্তভাবে দেবে।”
আপনার কমেন্ট